হজ প্যাকেজ ২০২৫: শুদ্ধতার পথে আকিজ এয়ারের সাথে

hajj
 

পবিত্র হজ পালনের জন্য আকিজ এয়ার নিয়ে এসেছে বিশেষ হজ প্যাকেজ ২০২৫। সাশ্রয়ী খরচ, বিশ্বমানের সেবা এবং পবিত্র ভূমিতে এক অনন্য অভিজ্ঞতা—এসব কিছুই আপনার জন্য নিশ্চিত করতে আমরা প্রস্তুত।

 

আপনার যাত্রা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা আপনাকে নিশ্চিত করব সর্বোচ্চ সেবা। থাকছে উচ্চমানের আবাসন, সুস্বাদু হালাল খাবার, অভিজ্ঞ গাইড এবং সম্পূর্ণ ভিসা প্রসেসিংসহ বিশেষ সাপোর্ট।

 

ইকোনমি প্যাকেজ:

 

  • কুইন্ট/কোয়াড শেয়ার ভিত্তিতে: ৫,৫০,০০০ টাকা
  • ট্রিপল শেয়ার ভিত্তিতে: ৬,৪০,০০০ টাকা
  • ডাবল শেয়ার ভিত্তিতে: ৭,০০,০০০ টাকা
  • শিশু (কোয়াড শেয়ারে): ৫,০০,০০০ টাকা
  • ইনফ্যান্ট (মা/বাবার সঙ্গে): ৩,৫০,০০০ টাকা

 

স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ:

 

  • কুইন্ট/কোয়াড শেয়ার ভিত্তিতে: ৭,০০,০০০ টাকা
  • ট্রিপল শেয়ার ভিত্তিতে: ৭,৮০,০০০ টাকা
  • ডাবল শেয়ার ভিত্তিতে: ৮,৫০,০০০ টাকা
  • শিশু (কোয়াড শেয়ারে): ৫,২০,০০০ টাকা
  • ইনফ্যান্ট (মা/বাবার সঙ্গে): ৩,৫০,০০০ টাকা

 

ভিআইপি প্যাকেজ:

 

আমাদের ভিআইপি হজ ২০২৫ প্যাকেজটি পুরোপুরি কাস্টমাইজযোগ্য এবং আলোচনা সাপেক্ষ। আমরা আপনাকে দিচ্ছি:

  • ২০ দিনের প্রিমিয়াম প্যাকেজ
  • হারাম শরীফ থেকে ০ মিটার দূরে ৫-তারকা হোটেল/আবাসন ব্যবস্থা
  • শীর্ষ মানের এয়ারলাইন্স (সৌদি এয়ারলাইন্স, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স) থেকে বিজনেস ক্লাস টিকিট
  • ভিআইপি তাঁবু
  • বুফে খাবারের ব্যবস্থা
  • আপনার যাত্রা সহজ করার জন্য অভিক্ষ মুয়াল্লেম নিয়োজিত থাকবে
  • পবিত্র স্থানগুলোতে সহজ এবং আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য প্রাইভেট পরিবহন বা বুলেট ট্রেনের ব্যবস্থা
  • ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থানগুলো ভ্রমনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
  • মিনা, আরাফার ও মুজদালিফায় তাঁবুতে ভিআইপি সুবিধা
  • যাত্রা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ডেডিকেটেড কাস্টমার সাপোর্ট

প্যাকেজের চূড়ান্ত মূল্য আপনার নির্দিষ্ট চাহিদা ও পছন্দ অনুসারে বিস্তারিত পরামর্শের পর নির্ধারণ করা হবে।

 

ভ্রমণসূচী

 

১-৩য় দিন: যাত্রা এবং আগমন

  • নিজ দেশ থেকে যাত্রা।
  • সৌদি আরবের জেদ্দায় আগমন।
  • মক্কায় স্থানান্তর এবং হোটেলে চেক-ইন।
  • বিশ্রাম ও উমরাহ (ছোট হজ) সম্পাদন।

৪-২০তম দিন : মক্কায় প্রাথমিক দিনগুলো

  • মসজিদুল হারামে প্রতিদিনের নামাজ আদায় এবং প্রার্থনা।
  • হজের প্রস্তুতির জন্য সেশন বা নির্দেশিকা গ্রহণ (মাসলাহ মাসায়েল প্রশিক্ষন)
  • প্রতিদিন নফল তাওয়াফ করা।
  • মক্কার আশেপাশের ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় স্থান পরিদর্শন।
  • প্রতিদিনের নামাজ ও ধর্মীয় আলোচনা অংশগ্রহণ।
  • প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করা।

 

২১-২৮তম দিন: মদিনা সফর

  • মদিনার উদ্দ্যেশে যাত্রা।
  • মসজিদে নববী এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক স্থান পরিদর্শন।
  • নামাজ আদায়, ধর্মীয় লেকচারে অংশগ্রহণ।
  • রিয়াজুল জান্নাহ পরিদর্শন।
  • দোয়া এবং ব্যক্তিগত ধ্যানের মধ্যে সময় কাটানো।

২৯-৩২তম দিন: মদিনা থেকে প্রত্যাবর্তন ও হজের প্রস্তুতি গ্রহণ 

  • মক্কার উদ্দ্যেশে যাত্রার প্রস্তুতি।
  • মক্কায় (আজিজিয়ায়) স্থানান্তর এবং হোটেলে চেক-ইন।
  • বিশ্রাম ও উমরাহ (ছোট হজ) সম্পাদন।
  • হজের প্রস্তুতির জন্য সেশন বা নির্দেশিকা গ্রহণ (মাসলাহ মাসায়েল প্রশিক্ষন)

৩৩তম দিন: তাওয়িয়া দিবস

  • মিনায় যাত্রা।
  • দিনটি প্রার্থনা ও ধ্যানের মধ্যে কাটানো।

৩৪তম দিন: আরাফাত দিবস

  • হজের কেন্দ্রীয় আনুষ্ঠানিকতার জন্য আরাফাতের প্রান্তরে উপস্থিতি।
  • দিনের পুরোটা সময় প্রার্থনা ও মোনাজাতে মগ্ন থাকা।
  • সূর্যাস্তের পর মুজদালিফার উদ্দেশ্যে যাত্রা।

৩৫তম দিন: প্রথম তাশরীক দিবস

  • মুজদালিফায় পাথর সংগ্রহ।
  • মিনায় ফিরে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ (রামি) সম্পাদন।
  • কুরবানী (পশু জবাই) সম্পন্ন।
  • পুরুষরা মাথা মুন্ডন করতে পারেন; নারীরা চুলের সামান্য অংশ কাটতে পারেন।
  • মক্কায় ফিরে তাওয়াফ আল-ইফাদা এবং সাঈ সম্পাদন।

৩৬-৩৭ তম দিন: বাকি তাশরীক দিবস

  • মিনায় প্রতিদিন রামি করা।
  • ইবাদত ও ধ্যানের মধ্যে দিন কাটানো।

 

৩৮ তম দিন: মক্কা থেকে বিদায়

  • বিদায় তাওয়াফ (তাওয়াফ আল-ওয়াদা) সম্পাদন।
  • জেদ্দা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা।

৩৯ তম দিন: প্রত্যাবর্তন যাত্রা

  • নিজ দেশে ফিরে আসা।

 

বিস্তারিত যোগাযোগের জন্যঃ ০৯৬১৩৫০০৮৫০,০১৩২৯৬৯০৩৮১ 

 

প্রয়োজনীয় প্রশ্নোত্তর 

 

প্রশ্নঃ প্রাক-নিবন্ধনের জন্য কী কী ডকুমেন্টস প্রয়োজন?

 

উত্তরঃ হজের প্রাক-নিবন্ধনের জন্য সাধারণত নিচের ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন:

  1. পাসপোর্ট (মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে)
  2. জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)
  3. নিবন্ধন ফি পরিশোধের রসিদ
  4. জন্ম সনদ (বাচ্চাদের জন্য)

প্রশ্নঃ প্রাক-নিবন্ধনের পরবর্তী ধাপ কী?

 

উত্তরঃ প্রাক-নিবন্ধনের পরবর্তী ধাপগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং যথাযথভাবে অনুসরণ করা প্রয়োজন। প্রথমে, প্রাক-নিবন্ধনের পর, নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রতি বছর নির্দিষ্ট কোটা বরাদ্দ থাকায়, নিবন্ধিত ব্যক্তিদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিতদের নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিত হলে, তাদেরকে ফাইনাল নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিতে বলা হয়, যেমন পাসপোর্টের কপি, স্বাস্থ্য সনদ, এবং ফাইনাল ফি পরিশোধের রসিদ। ফাইনাল নিবন্ধনের পর, হজের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়, যার মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, প্রশিক্ষণ, এবং হজ প্যাকেজের আয়োজন অন্তর্ভুক্ত থাকে। এরপর, সৌদি আরবের ভিসা এবং ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়। সবশেষে, আপনি নির্ধারিত সময়ে সৌদি আরব পৌঁছে হজ আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবেন।

 

প্রশ্নঃ আমি কী আমার প্রাক-নিবন্ধন তথ্য পরিবর্তন করতে পারি?

 

উত্তরঃ হজের প্রাক-নিবন্ধন তথ্য পরিবর্তন করার জন্য আপনাকে হজ অফিস বা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করতে হবে। সাধারণত, নাম, পাসপোর্ট নম্বর বা জন্মতারিখের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংশোধন করা যেতে পারে, তবে এটি ফাইনাল নিবন্ধনের আগে করতে হবে। সংশোধনের জন্য প্রমাণস্বরূপ নথিপত্র জমা দিতে হতে পারে। সময়সীমা এবং নিয়মাবলী অনুসরণ করে দ্রুত পরিবর্তন করতে হবে, কারণ ফাইনাল নিবন্ধনের পর তথ্য পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।



 

প্রশ্নঃ যদি আমি প্রাক-নিবন্ধনের সময়সীমা মিস করি?

 

উত্তরঃ যদি প্রাক-নিবন্ধনের সময়সীমা মিস করেন, তবে পরবর্তী বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে, বিশেষ কারণে সময়সীমা মিস করলে হজ অফিস বা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তী পদক্ষেপ জানার চেষ্টা করুন।

 

প্রশ্নঃ প্রাক-নিবন্ধন ছাড়া কী হজ পালন করা সম্ভব?

 

উত্তরঃ প্রাক-নিবন্ধন ছাড়া সরাসরি হজ পালন করা সম্ভব নয়, কারণ প্রতি বছর হজে যাওয়ার জন্য সরকারের নির্দিষ্ট কোটা এবং নিবন্ধন প্রক্রিয়া রয়েছে। নিবন্ধন ছাড়া হজের অনুমতি পাওয়া যায় না।

বাংলাদেশে, ধর্ম মন্ত্রণালয় বা হজ অফিস এর মাধ্যমে নিবন্ধনই একমাত্র বৈধ উপায়। তবে, যদি কোনো কারণে আপনি প্রাক-নিবন্ধন করতে না পারেন, তখন পরবর্তী বছর নিবন্ধন করতে হবে।

এছাড়া, বেসরকারি হজ এজেন্সির মাধ্যমে নিবন্ধন করা হলেও, তা সরকারি কোটা অনুযায়ী হতে হয়, তাই প্রাক-নিবন্ধন ছাড়া হজ যাত্রা সম্ভব নয়।